3.50K দেখা হয়েছেনামায
1

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
12:15 এর পর তো যোহরের ওয়াক্ত হয়ে যায়। কোনো জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে মসজিদে আযান দেয়ার পূর্বে কি নামায পড়া যাবে? তখন কি যোহরের নামায আদায় হবে?

Loading

mufti emdadul haque প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এপ্রিল 21, 2021
একটা মন্তব্য যোগ করুন

1 উত্তর

1

জবাবঃ- মহিলা একা নামায পড়ুক বা জমাতের সাথে পড়ুক তাদের জন্য ইক্বামত নেই।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৮৩)   নামাযের জন্য আযান ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত।(ফাতাওয়ায়ে ক্বাসিমিয়্যাহ-৫/৩৬২)   ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ  (ﻗَﻮْﻟُﻪُ: ﻟِﻠﺮِّﺟَﺎﻝِ) ﺃَﻣَّﺎ اﻟﻨِّﺴَﺎءُ ﻓَﻴُﻜْﺮَﻩُ ﻟَﻬُﻦَّ اﻷَْﺫَاﻥُ ﻭَﻛَﺬَا اﻹِْﻗَﺎﻣَﺔُ، ﻟِﻤَﺎ ﺭُﻭِﻱَ ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲٍ ﻭَاﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻣِﻦْ ﻛَﺮَاﻫَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻟَﻬُﻦَّ؛ ﻭَﻷَِﻥَّ ﻣَﺒْﻨَﻰ ﺣَﺎﻟِﻬِﻦَّ ﻋَﻠَﻰ اﻟﺴَّﺘْﺮِ، ﻭَﺭَﻓْﻊُ ﺻَﻮْﺗِﻬِﻦَّ ﺣَﺮَاﻡٌ ﺇﻣْﺪَاﺩٌ، ﺛُﻢَّ اﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠﺼَّﺒِﻲِّ ﺇﺫَا ﺃَﺭَاﺩَ اﻟﺼَّﻼَﺓَ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﺴَﻦُّ ﻟِﻠْﺒَﺎﻟِﻎِ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻛَﺮَاﻫَﺔِ ﺃَﺫَاﻧِﻪِ ﻟِﻐَﻴْﺮِﻩِ ﻛَﻼَﻡٌ ﻛَﻤَﺎ ﺳَﻴَﺄْﺗِﻲ ﻓَﺎﻓْﻬَﻢْ. আযান পুরুষদের জন্য সুন্নাত।এবং মহিলাদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাকরুহ। হযরত আনস রাযি এবং ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,যে তারা মহিলাদের জন্য আযান-ইক্বামতকে অপছন্দ করতেন।কেননা মহিলাদের অবস্থান পর্দার আড়ালে।এবং তাদের স্বরকে পর পুরুষের সামনে উচ্ছ করা হারাম।নাবালেক বালকদের জন্য আযান-ঈক্বামত মাসনুন যখন তারা নামাযের ইচ্ছা পোষন করবে।যেভাবে বালেগদের জন্য মাসনুন।তবে যদিও নাবালেক কর্তৃক বালেগদের জন্য আযান-ঈক্বামত প্রদাণ মাকরুহ।এবং এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। {রদ্দুল মুহতার;১/৩৮৪}    قال (وليس على النساء أذان ولا إقامة) لأنهما سنة الصلاة بالجماعة وجماعتهن منسوخة لما في اجتماعهن من الفتنة وكذلك إن صلين بالجماعة صلين بغير أذان ولا إقامة  মহিলাদের উপর আযান-ঈক্বামত নেই।কেননা আযান-ঈক্বামত হচ্ছে জামাতের সাথে নামায আদায়কালীন সুন্নাত।আর মহিলাদের জামাতের সাথে নামায মানসুখ বা রহিত কেননা মহিলাদের জমায়েত ফিৎনা আশংকাজনক।ঠিকতেমনিভাবে যদি তারা জামাতে নামায পড়েও নেয় তবে যেন তারা আযান-ঈক্বামত ব্যতীত পড়ে। মাবসুত-সারখাসী-১/১৩৩)       আযান প্রচলনের হেকমত বা রহস্য হিসেবে  চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ  “আল-মাওসু’আতুল ফেক্বহিয়্যায় “বর্ণিত রয়েছে, شُرِعَ الأَْذَانُ لِلإِْعْلاَمِ بِدُخُول وَقْتِ الصَّلاَةِ، وَإِعْلاَءِ اسْمِ اللَّهِ بِالتَّكْبِيرِ، وَإِظْهَارِ شَرْعِهِ وَرِفْعَةِ رَسُولِهِ، وَنِدَاءِ النَّاسِ إِلَى الْفَلاَحِ وَالنَّجَاحِ তরজমাঃ- নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশ হয়েছে, একথা বোঝানোর জন্য আযানের প্রচলন শুরু হয়।শুধু তাই নয় বরং তাকবীরের মাধ্যমে আল্লাহর নামকে উচু করার স্বার্থে।এবং আল্লাহ তা’আলার বিধি-বিধানকে প্রকাশ করতে ও তার রাসূল সাঃ এর মর্যদাকে বৃদ্ধি করতে সর্বোপরি লোকদিগকে কল্যাণ ও কামিয়াবির দিকে ডাকতে আযানের প্রচলন শুরু হয়। (২/৩৫৯)   সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত  আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে,আযান হচ্ছে নামাযের ওয়াক্ত প্রবেশের ঘোষক।কিন্তু যেহেতু আযানের পরপরই নামায শুরু করাটা সুবিধাজনক। তাই ওয়াক্ত প্রবেশের সাথে সাথেই আযান না দিয়ে বরং হাদীসে বর্ণিত মুস্তাহাব ওয়াক্তের কিছু পূর্বে আযান দেয়া হয়ে থাকে। সুতরাং প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আযান হোক বা নাই হোক, শোনা যাক বা নাই যাক। নামায পড়ে নিলে নামায অাদায় হয়ে যাবে। তবে প্রত্যেক নামাযের মুস্তাহাব ওয়াক্তেই নামায পড়া উত্তম। 3575   জ্বী, ওয়াক্ত হওয়ার পর আযানের পূর্বে নামায পড়া যাবে।  

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

Loading

Arab Light Online Madrasa এটি প্রকাশ করেছে ডিসেম্বর 14, 2022
একটা মন্তব্য যোগ করুন
আপনার উত্তর লিখুন।

Categories

প্রশ্ন পরিসংখ্যান

  • Active
  • দৃশ্য3502 times
  • উত্তর1 উত্তর