0
0 টি মন্তব্য

উপার্জনের কয়েকটি পদ্ধতির ব্যাপারে আমার অবস্থান সঠিক কিনা জানতে চাই। আমি স্থানীয় একটি জামে মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করি। মসজিদ থেকে যে বেতন পাই তা দিয়ে চলা কঠিন। তাই ইমামতির পাশাপাশি অন্য কোন উপায়ে উপার্জন করতে চাই । এক্ষেত্রে আমার বন্ধুদের অবলম্বিত কয়েকটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করছি ।

১. কয়েকজন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকতা করেন।

২. দুইজন দুইটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক। যারা ছাত্র হাজীরা, শিক্ষক হাজীরা, পরীক্ষা নেওয়া সহ যাবতীয় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুধুমাত্র কাগজে-কলমে মেন্টেন করেন বাস্তবে তাদের মাদ্রাসা বন্ধ।

৩. একজন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিচালিত দারুল আকরামের প্রধান শিক্ষক । যাঁর মাদ্রাসায় ছাত্র হাজীরা, পরীক্ষা নেওয়া সহ যাবতীয় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুধুমাত্র কাগজে-কলমে মেন্টেন করেন বাস্তবে তাদের মাদ্রাসায় শুধুমাত্র একটি জামাতের ক্লাস হয়।

৪. অনেকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিচালিত ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এক বছর মেয়াদী সহজ কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর নতুন ৩৫ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোর্স সম্পন্ন করার নিয়ম থাকলেও এলাকায় পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকায় তারা শিক্ষার্থীদের বয়স ও পরিচয়ের ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেন । এবং মাসিক মিটিং এর নিয়ম থাকায় তারা কোনো মিটিং না করেই প্রতি মাসে মিথ্যা রেজুলেশন সংরক্ষণ করেন। যেখানে তারা মিটিং এ উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর, মিটিং এর সিদ্ধান্ত সহ জাতীয় বিষয় উল্লেখ করেন।

৫. একজন একটি ক্বওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে তিনি নিজে পড়ান না বরং শিক্ষক রেখে পরিচালনা করেন। শিক্ষার্থীদের বেতন ও কমিটির মাধ্যমে এলাকায় অর্থ কালেকশন করে এ প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বহন করেন। মাদ্রাসা পরিচালনা করে যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে তা তার ব্যবসা হিসেবে নিজে গ্রহণ করেন ।

৬. কেউ কেউ শুধু শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নিয়ে ক্বওমী মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তারা বাহিরে কানেকশন করেন না। মাদ্রাসা পরিচালনা করে যে অর্থ অবশিষ্ট থাকে তা তারা ব্যবসা হিসেবে নিজেরা গ্রহণ করেন ।

১ নং , ২ নং ও ৩ নং ক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্যক্রম আমি নাজায়েজ মনে করি।

২ নং ৩ নং ও ৪ নং ক্ষেত্রে তারা ঘুষ দিয়ে চাকরি গ্রহণ করেছেন তাদের যুক্তি হলো যেহেতু দেশে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না এবং দেশে ইসলামী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নেই তাই যে চাকরির জন্য ঘুষ দিচ্ছে সে চাকরির যোগ্যতা থাকলে ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়া নাজায়েজ হবে না। আমি জানতাম ঘুষ দেয়া নেয়া নাজায়েজ।

৬ নং পদ্ধতি ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষকদের মিথ্যা বা ধোঁকার আশ্রয় নিতে দেখা যায়। এবং পর্দার ব্যাপারে এদেরকে অনেককেই শৈথিল্য প্রদর্শন করতে দেখা যায়। আমি তা গুনাহের কাজ মনে করি। তবে যারা এ প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সম্পৃক্ত তারা প্রত্যেকে আলেম। কেউবা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফিকাহ বিভাগ থেকে কামিল পাস কেউবা কওমি মাদ্রাসা থেকে ইফতা পাস। তাদের যুক্তি হলো যেহেতু দেশে ইসলামী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নেই এবং এ সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম নীতি সঠিক নয় তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই চাকরি রক্ষার্থে আমাদের এভাবে করতে হয়। তাই উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো জায়েজ নাজায়েজের ব্যাপারে আমি কিছুটা সন্দিহান হয়ে পরেছি।

৬ নং পদ্ধতি জায়েজ নাজায়েজের ব্যাপারে আমি সন্দিহান।

মসজিদে খেদমতের পাশাপাশি আমার জন্য উপর উল্লেখিত পদ্ধতির কোনটি গ্রহণ করার অবকাশ আছে কি না ?

তাছাড়া আমি একজন মসজিদের খতিব হিসেবে এ সকল বিষয়ে অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এবং দেশের অনেক আলেমরাই এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত তাই এ সকল বিষয়ে সঠিক আকিদা ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পেলে আমি সহ দেশের অনেক মুসলিম উম্মাহ উপকৃত হব। جَزَاكم اللهُ خَيْرًا كَثِيرًا

Loading

মোঃ ছাকিবুর রহমান প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জানুয়ারি 21, 2025
একটা মন্তব্য যোগ করুন

1 উত্তর

0
মুফতি মনোয়ার হুসাইন (anonymous) 0 মন্তব্যসমূহ

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১,২,৩,৪,৬নং প্রশ্নের উত্তর 

প্রথম কথা হলো!

শিক্ষকতা মূলত একটি জায়েজ ও বৈধ পেশা। কিন্তু পারিপার্শিক কারণে তা নাজায়েজ হতে পারে। যেমন প্রশ্নোল্লিখিত স্থানে যদি নারীদের আলিয়া মাদ্রাসা স্কুল কলেজে বা সহশিক্ষা আছে এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলে চোখের হিফাযত না হয়, পর্দার সাথে থাকা না যায়, তাহলে এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা জায়েজ হবে না। যদি পরিপূর্ণ পর্দার সাথে ক্লাস করানো যায়, তাহলে নারীদের স্কুল-কলেজে বা সহশিক্ষা আছে এমন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা জায়েজ আছে।

কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে না।

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا

র্অথ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণরে কাছে কছিু চাইলে র্পদার আড়াল থকেে চাইব। এটা তোমাদরে অন্তররে জন্য এবং তাঁদরে অন্তররে জন্য অধকিতর পবত্রিতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবীদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতরে আলোচনায় বলনে, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে র্পদার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অর্ন্তভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ হলেন সকল মুমিনদের মা। অথচ তাঁদের সাথেই লেনদেনে বা কথা-র্বাতা বলতে হলে র্পদার আড়াল থেকে করতে বলা হয়েছে। তাহলে অন্যান্য সাধারণ বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে হুকুমটি কত গুরুত্বর্পূণ হওয়া উচিত তা তো সহজইে অনুমেয়।

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم أيها الناس اتقوا الله وأجملوا في الطلب . فإن نفسا لن تموت حتى تستوفي رزقها وإن أبطأ عنها . فاتقوا الله وأجملوا في الطلب

হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করছেনেঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর! এবং উর্পাজনে উত্তম পন্থা অবলম্বন কর। কেননা, কোন ব্যক্তি ততক্ষণ র্পযন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ না তার রিজিক শেষ হয়। যদিও তা ধীরে ধীরে হয়। তাই আল্লাহ তাআলাকে ভয় পাও! এবং উর্পাজনে উত্তমপন্থা অবলম্বন কর। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২১৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৯১৪, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-১১৫২}

শেষ কথা!

ইসলামে ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া উভয়টি হারাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতা উভয়কে অভিসম্পাৎ করেছেন। সুনানে তিরমিজি ১/২৪৮

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য হল, আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সর্বপ্রথম ঘুষ প্রদান ব্যতীত চাকরির অনুসন্ধান করা এবং কায়োমনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করা । তবে আপনি যদি একান্ত নিরুপায় হোন এবং বর্তমান চাকরির যোগ্য হোন, তাহলে ঘুষ প্রদান করে চাকরিটি নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ভবিষ্যতে ঘুষবিহীন ভালো কোন চাকরির অনুসন্ধান জারি রাখতে হবে। তাহলে আশা করা যায় উক্ত কাজটি আপনার জন্য বৈধ হবে। কিন্তু গ্রহীতার জন্য তা কোন ভাবেই বৈধ হবে না।

المستندات الشرعية:

أخرج الإمام الترمذي رح في “سننه” ٢٤٨/١ :في الراشي والمرتشي في الحكم (ط.الاشرفية): بسنده المتصل عن عبد الله بن عمرو رض قال لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم الراشي والمرتشي، قال الترمذي هذا حديث حسن صحيح.

قال المفتي والمحدث سعيد أحمد بالن بوري في “تحفة المعي” ٢٦١/٤: (مذکورہ حدیث کے شرح میں): الغرض: رشوت نہ لینا جائز ہے نہ دینا، البتہ رشوت دیے بغیر حق نہ مل سکتا ہو تو رشوت دینے کی گنجائش ہے، مگر لینے کی کسی صورت میں گنجائش نہیں ہے

وفي “مجمع الأنهر”٢١٤/٣: كتاب القضاء (ط.مكتبة رشيدية): قال وأعلم أن ما دفع إما دفع للتودد وهو حلال من الجانبين وإما لصيرورته قاضيا وهو حرام منهما وإما لخوف على نفسه أو ماله وهو حرام على الأخذ حلال للدافع وكذا إذا طمع في ماله فرشاه ببعض المال. انتهى

وفي “البحر ” ٤٤١/٦: كتاب القضاء(ط.زكريا ديوبند ): منها إذا دفع الرشوة خوفا على نفسه أو ماله فهو حرام على الأخذ غير حرام على الدافع

وكذا إذا طمع في ماله فرشاه ببعض المال

ومنها إذا دفع الرشوة ليسوى أمره عند السلطان حل له الدفع ولا يحل الآخذ أن ياخذ. انتهى

ويراجع أيضا : “التاتارخانية” ٧٧/١١، و”الدر المختار” مع “رد المحتار”٤٢/٨. انتهى

 

বিঃদ্রঃ

ধোঁকা দিয়ে সুবিধা নেয়ার পদ্ধতিটি ইসলাম সাপোর্ট করে না। কারণ ধরা খেলে আইন ভঙ্গ করার কারণে তার উপর শাস্তি নিপতিত হবে।

عن حذيفة قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا ينبغي للمؤمن أن يذل نفسه قالوا وكيف يذل نفسه ؟ قال يتعرض من البلاء لما لا يطيق (سنن الترمذى، كتاب الفتن، باب ما جاء في لانهي عن سب الرياح، باب منه، رقم الحديث -2254

হযরত হুযায়ফা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, কোন মুমিনের জন্য উচিত নয় নিজেকে অপমানিত করা। সাহাবারা বললেন-কিভাবে ব্যক্তি নিজেকে অপমানিত করে? তিনি বললেন-অনুচিত বিপদে নিজেকে জড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২২৫৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪০১৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৪৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৯০, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-১৪১১, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-১০৩৩০, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-৮৬৭}

যেই সকল লোক মিথ্যা কথার আশ্রয় গ্রহণ করে, যে সংখ্যায় জালিয়াতি করেছে তার ভাতা গ্রহণ করা জায়েজ নয়। কারণ হারাম পন্থায় তা অর্জন করা হয়েছে। কেননা মিথ্যা বলা জায়েজ নয়, কাউকে ধোঁকা দেয়া জায়েজ নয়। সুতরাং এগুলোর মাধ্যমে অর্জিত অর্থও জায়েজ নয়।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ [سورة النساء -29]অর্থাৎ হে মুমিনরা! তোমরা পরস্পরের মালকে অন্যায়ভাবে গ্রাস করনা, তবে ব্যবসায়িক পদ্ধতিতে পারস্পরিক সন্তুষ্টচিত্তে হল ভিন্ন কথা। {সূরা নিসা-২৯}

قوله تعالى- فَاجْتَنِبُواْ الرِّجْسَ مِنَ الأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُواْ قَوْلَ الزُّورِ [الحج -30

তোমরা মুর্তিপূজার নোংরামী থেকে বাঁচো, এবং মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো। {সূরা হজ্জ্ব-৩০}

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا (صحيح مسلم، كتاب الايمان، باب قَوْلِ النَّبِىِّ – صلى الله تعالى عليه وسلم – « مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا، رقم الحديث -294)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে আমার উম্মতের উপর অস্ত্র উঁচু করে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়, আর যে আমাদের সাথে ধোঁকাবাজী করে, সেও আমার উম্মতভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৫৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৪১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৮৩৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৭৯৭, মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭২১}।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর

কুরআনী তালীম ইত্যাদির বিনিময় গ্রহণ করা পূর্ব ফকীগণ বৈধ বলেননি বরং পরবর্তী ফকীগণ তা বিশেষ কারণে বৈধ বলেছেন।

সুতরাং উক্ত ভাইয়েরা প্রতিষ্ঠানে সময় ব্যায় করছে এর বিনিময় বাবদ টাকা গ্রহণ করে থাকে তাহলে বৈধ হবে।

আমার পরামর্শ আপনার জন্য।

ইমামতি খেতাবতের সাথে ক্বাওমী মাদ্রাসার তালীম সাথে সংযুক্ত হতে পারেন। অথবা হালাল পন্থার যে কোন ব্যাবসা সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন।

আল্লাহ তাআলা উত্তম রিজিক দাতা।

Loading

Arab Light Online Madrasa এটি প্রকাশ করেছে জানুয়ারি 21, 2025
একটা মন্তব্য যোগ করুন
আপনার উত্তর লিখুন।

Categories

প্রশ্ন পরিসংখ্যান

  • Active
  • দৃশ্য40 times
  • উত্তর1 উত্তর