আসসালামুআলাইকুম,
অনেকেই কোন কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদের নিচতলায় নামাজের কাতার সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ না করেই অর্থাৎ কাতার করার মত অনেক জায়গা খালি থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় তলায় কাতার করে নামাজ আদায় করে ।
যারা কোন কারণ ছাড়াই খামখেয়ালি বশত এভাবে নিয়মিত নামাজ আদায় করে, তাদের নামাজ আদায় হবে কি ?
এই সম্পর্কে দলিলসহ জানাবেন ?
উত্তরঃ
সামনের কাতার পূরণ না করে পিছনে কাতার বানানো বা নীচের তলায় ফাঁকা রেখে উপর তলায় দাঁড়ানো জায়েজ নয়।
কারণ রাসূল (ছাঃ) সামনের কাতার পূরণ করে পিছনের কাতার পূর্ণ করার আদেশ দিয়েছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
‘ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের নিকটে যেরূপ সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান হয়ে থাকে তোমরা ঐরূপ করো না কেন?…
তিনি বললেন, তারা সর্বাগ্রে প্রথম কাতার পূরণ করে, অতঃপর পর্যায়ক্রমে কাতারগুলো পূর্ণ করে এবং তারা কাতারে দন্ডায়মান হওয়ার সময় পরস্পর মিলে দাঁড়ায়’ (মুসলিম হা/৪৩০; মিশকাত হা/১০৯১)।
তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা কাতার সোজা কর, কাঁধ সমূহ সমানভাবে মিলাও, ফাঁক বন্ধ কর এবং শয়তানের জন্য কোন স্থান ফাঁকা রেখো না।
কেননা যে ব্যক্তি কাতারে মিলে দাঁড়াল, আল্লাহ তার সঙ্গে থাকেন। আর যে ব্যক্তি তা কর্তন করল, আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন’ (আবুদাঊদ হা/৬৬; মিশকাত হা/১১০২; ছহীহাহ হা/৭৪৩)।
কেউ যদি সামনের কাতারে জায়গা থাকা সত্ত্বেও একাকী পিছনের কাতারে দাঁড়ায়, তাহ’লে তার ছালাত বাতিল হবে এবং পুনরায় পড়তে হবে (তিরমিযী হা/২৩০; মিশকাত হা/১১০৫)।
এখন যদি কেউ নীচ তলায় জায়গা থাকা সত্ত্বেও উপরে উঠে যায় এবং উভয় তলাতেই মুছল্লী যোগদান করে, তাহ’লে তার নামাজ হয়ে যাবে। যদিও সেটি ত্রুটিপূর্ণ হবে।(মাকরূহে তাহরিমির সাথে) (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/৪১০)।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)