আমি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিপসনে টাকার রিসিপ্ট কাটার চাকরি করি ।
আমার মাধ্যমে অর্থাৎ আমার পরিচিত কোন রোগী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে আসলে, ডাক্তার যদি রোগীর প্রয়োজনে কোন টেষ্ট দেয়, আর রোগী যদি আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার টেষ্টগুলো করায়, তাহলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাকে কিছু কিছু টেষ্টের জন্য ৫০% টাকা কমিশন দেয়, আবার কিছু টেষ্টে আরও কমও কমিশন দেয় ।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাকে কমিশন দেয় রোগী কি কি টেষ্ট করিয়েছে তার মূল্যের উপর নির্ভর করে । প্রতিটি টেষ্টের মূল্য অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মূল্যের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত ।
কমিশনটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের টেষ্ট গুলোর নির্ধারিত মূল্য থেকেই দেয় । প্রতিটি টেষ্টের জন্য কমিশনটাও নির্ধারিত ।
আমার মাধ্যমে অর্থাৎ আমার পরিচিত রোগী আসলে, তাদেরকে আমার কমিশন থেকে ১০% – ৪০% ছাড় হিসেবে দিয়ে দেই, আর বাকিটা আমার কমিশন থাকে ।
আবার, অন্য কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর টেষ্ট করিয়ে দিলে ওখান থেকেও একই ভাবে কমিশন দেয় ।
*** কমিশনের টাকাটা কি আমার জন্য হালাল হবে ? ***
আবার, কোন ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে গেলে, ডাক্তার তার ভিজিটের টাকা থেকে কিছু টাকা দেয় ।
***এটা কি ঘুষ হবে ?
*** রোগীকে ডাক্তার দেখিয়ে দেওয়ার জন্য এবং টেষ্ট করিয়ে দেওয়ার জন্য আমি কোন প্রকার টাকা-পয়সা রোগী বা রোগীর সাথের লোকজনদের কাছ থেকে গ্রহন করি না, রোগীর সাথের লোকজন দিতে চাইলেও নেই না ।
ডাক্তারদের কমিশন গ্রহণ প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান,
কোনো রোগী ডাক্তারের কাছে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ব্যবস্থা পত্র আনতে গেলে ইসলামি আইনের পরিভাষায় রোগীকে বলা হবে মুস্তাজির- নিয়োগকর্তা। আর ডাক্তারকে বলা হবে আজির বা কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহীতা।
এক্ষেত্রে ইসলামের পরামর্শ হলো- রোগীর সার্বিক অবস্থাদি ডাক্তারকে জানানো এবং নির্ধারিত ভিজিট প্রদান করা। রোগী থেকে চিকিৎসা ফি নেওয়া বৈধ। আর ডাক্তারের দায়িত্ব হলো- রোগীর জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা। রোগ শনাক্তের জন্য ডাক্তাররা রোগীর যে মেডিকেল টেস্টগুলো করিয়ে থাকেন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব (রোগ নির্ণয় করে প্রেসক্রিপশান দেওয়া) যথাযথভাবে আদায়ের সুবিধার্থে। এক্ষেত্রে কোন জায়গা থেকে পরীক্ষাগুলো করালে ভালো হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া ডাক্তারেরই পেশাগত দায়িত্ব। তিনি নির্ধারিত ভিজিটের বিনিময়ে এ কাজগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে করে দেবেন।
উপরোক্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে একথা প্রমাণিত হয় যে, মেডিকেল টেস্টে রোগী প্রেরণকারী ডাক্তারের জন্য কমিশন গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। কারণ ডাক্তার আগেই প্রয়োজনীয় কাজের জন্য রোগীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। তাই ল্যাব বা হাসপাতাল কর্তৃক ডাক্তারদের প্রদত্ত কমিশন শরিয়ত নিষিদ্ধ বিষয়, এটা উৎকোচের নামান্তর। -ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/৪১০, ফাতাওয়া রশিদিয়া: ৫৫৮
মোটকথা কোন রোগীকে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়াটা বিনিময়যোগ্য কাজ নয়। তাই আপনার জন্য কোনো রোগীকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে বিনিময়ে কোনো কমিশন বা অন্য কিছু গ্রহণ করা জায়েজ নয়, বরং তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই। প্রত্যেক মুসলমানের মধ্যে তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণকামিতা থাকা ইসলামের শিক্ষা ও দ্বিনের পরিচায়ক।
সূত্র : শরহুল আশবাহ, হামাবি : ৩/১২৯; ফাতাওয়া বাজ্যাজিয়াহ : ৫/৪৮; রদ্দুল মুহতার : ৬/৯৫; আলমুহিতুল বোরহানি : ১১/৩৫৩
উত্তরদাতা প্রশ্নটি সঠিক বুঝে নাই ।
আমি কোন ডাক্তার না ।
আমি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিপসনে টাকার রিসিপ্ট কাটার চাকরি করি ।
আমার মাধ্যমে অর্থাৎ আমার পরিচিত কোন রোগী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে আসলে, ডাক্তার যদি রোগীর প্রয়োজনে কোন টেষ্ট দেয়, আর রোগী যদি আমাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টার টেষ্টগুলো করায়, তাহলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাকে কিছু কিছু টেষ্টের জন্য ৫০% টাকা কমিশন দেয়, আবার কিছু টেষ্টে আরও কমও কমিশন দেয় ।
ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাকে কমিশন দেয় রোগী কি কি টেষ্ট করিয়েছে তার মূল্যের উপর নির্ভর করে । প্রতিটি টেষ্টের মূল্য অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মূল্যের সাথে সামাঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত ।
কমিশনটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের টেষ্ট গুলোর নির্ধারিত মূল্য থেকেই দেয় । প্রতিটি টেষ্টের জন্য কমিশনটাও নির্ধারিত ।
আমার মাধ্যমে অর্থাৎ আমার পরিচিত রোগী আসলে, তাদেরকে আমার কমিশন থেকে ১০% – ৪০% ছাড় হিসেবে দিয়ে দেই, আর বাকিটা আমার কমিশন থাকে ।
আবার, অন্য কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর টেষ্ট করিয়ে দিলে ওখান থেকেও একই ভাবে কমিশন দেয় ।
*** কমিশনের টাকাটা কি আমার জন্য হালাল হবে ?
জি ভাই আপনার প্রশ্ন আমরা ঠিকই বুজেছি।
নিচের লেখাগুলো ভালো করে দেখলে আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন আশাকরি।
(উপরোক্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে একথা প্রমাণিত হয় যে, মেডিকেল টেস্টে রোগী প্রেরণকারী অথবা পরিচিত কারো জন্য কমিশন গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই)। কারণ ডাক্তার আগেই প্রয়োজনীয় কাজের জন্য রোগীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। (তাই ল্যাব বা হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত কমিশন শরিয়ত নিষিদ্ধ বিষয়), এটা উৎকোচের নামান্তর। -ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৩/৪১০, ফাতাওয়া রশিদিয়া: ৫৫৮
আমার পরিচিত রোগীকে আমার ৫০% কমিশন থেকে কোন ছাড় না দেই, আর আমার কমিশনটাও আমি না নেই । তাহলে কমিশনের টাকাটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের থাকবে ।
কমিশন না নেওয়ার কারণে ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমার বেতনও বাড়িয়ে দিবে কমিশনের টাকা দিয়েই ।
এটাকি জায়েজ হবে ?
জি কম্পানি থেকে যদি বেতন হিসেবে দেয় তাহলে জায়েজ আছে।