46 দেখা হয়েছেইবাদাতমাযহাব
0
0 টি মন্তব্য

আস-সালামু আলাইকুম। প্রশ্নগুলো নিচের লেখার উপর করা তাই লেখাগুলো পড়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েন।

আল্লাহর রজ্জ্ব শক্ত করে ধরো আর বিছিন্ন হয়োনা।

(কুরআন সূরা আল ইমরান ১০৩)

জাকের নায়েক স্যার বলেন আল্লাহর রজ্জু হলো পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদিস।

যারা দ্বীন সম্পর্কে বিভিন্ন মত সৃষ্টি করে হে রাসূল তাদের দায়িত্ব তোমার নয়।

(সূরা আল আনাম ১৫৯)

প্রশ্নঃ ১) এখানে বলেছে আল্লাহর রজ্জু মানে কুরআন আর সহিহ হাদিস মানতে আর ৪ মাযহাব কুরআন ও সহিহ হাদীস সহ যেই হাদিস সহীহ না ওগুলো মানে কেন? যেটা এখানে মানতে বলেনি?

প্রশ্নঃ ২) মাযহাব মানি ও তো মত এখানে তো আল্লাহ বলেছে মত সৃষ্টি না করতে?

যারা নিজদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে (তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না)। প্রত্যেক দলই নিজদের যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত। আল-বায়ান

(সুরা রুম, আয়াত ৩২)

প্রশ্নঃ ৩) মাযহাব ও তো দলে দলে বিভক্ত হওয়া এই আয়াতে এটা কি নিষিদ্ধ নয়?

প্রশ্নঃ ৪) হানাফি মাযহাব ও তো ৫ ভাগে বিভক্ত এসব আয়াতে কী এটা নিষিদ্ধ?

বনী ইসরাঈল ৭২ ফিরকায় বিভক্ত হয়ে গেছে। আমার উম্মত ৭৩ ফিরকায় বিভক্ত হবে। তাদের সকলেই জাহান্নামী, একটি দল ছাড়া। তারা কারা? যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান রাখবে এবং তাদেরকে যা আদেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করবে।”

[সহীহ তিরমিযী, হাদিস নংঃ 2641]

প্রশ্নঃ ৫) এই হাদিসে মাযহাব এর কথা না বলে কিসের কথা বলেছে বুঝিয়ে বলেন?

প্রশ্নঃ ৬) নিচের হাদিস গুলো বুঝিয়ে দিন?

রাসুলুল্লাহ সা: থেকে ৩ টি বক্তব্য এসেছে:

১) যে দলটি জান্নাতে যাবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল সা: বলেন, কেবলমাত্র ১ টি দল ( যারা জান্নাতি), সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল তারা কারা? ( যারা জান্নাতি) উত্তরে তিনি বললেন যার উপরে আমি এবং আমার সাহাবীগণ আছি।

[ আত তিরমিযী ২৬৪১ ]

অন্যত্র রাসূল সা বলেন

আজজের দিনে আমি ও আমার ছাহাবীগণ যার উপরে আছি

(হাকেম ১/১২৯)।

অর্থাৎ এখানে রাসূল সা কেবল তরীকা ও বৈশিষ্টের কথা বলেছেন, কোনো দলের নাম বলে যাননি।

২) সেটি হলো আল- জামা আত।

[ ইবনু মাজাহ হ/ ৩৯৯২; আহমদ, আবু দাঊদ হা/৪৫৯৭; মিশকাত হা/১৭২।]

যার অর্থ ছাহাবীগণের জামা আত।

তারা হল [ আল জামা আত] একটি দল

প্রশ্নঃ ৭) কোন দল জান্নাতে যাবে?

হাদীসে রাসূল সাঃ স্পষ্টতই সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলের পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন। নাজাতপ্রাপ্ত হল সেই দল-যারা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত ও সাহাবায়ে কিরামের জামাতের মত ও পথের অনুসারী। এক কথায় যারা সুন্নাতধারী, সেই সাথে সাহাবাদের মত ও পথের অনুসারী। যাকে আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলে থাকি।

নাজাতপ্রাপ্ত দল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কোন রেজিষ্ট্রিকৃত দলের নাম নয়, এটি একটি আদর্শের নাম। যারা নবীজী সাঃ এর সু্ন্নাত আঁকড়ে থাকবে, সেই সাথে সাহাবাদের মত ও পথের অনুসারী হবে তারাই হবে জান্নাতী দল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।

সোর্স-

https://ahlehaqmedia.com/%E0%A6%8F-%E0%A6%89%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AD%E0%A7%A9-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8/

প্রশ্নঃ ৮) যেকোনো মাযহাব কুরআন, হাদিস, সাহাবী, তাবেই ইত্যাদি এর দলিল সহ মানলে কি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে?

প্রশ্নঃ ৯) তাহলে মাযহাব কেন মানবো দলিল সহ বুঝিয়ে দিন?

জাকির নায়েক স্যারের ভিডিও লিংক-https://www.facebook.com/100090503373909/videos/2751483461658068/?app

Loading

Anonymous প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন জানুয়ারি 21, 2025
একটা মন্তব্য যোগ করুন

1 উত্তর

0
মুফতি মনোয়ার হুসাইন (anonymous) 0 মন্তব্যসমূহ

ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া রহমাতুহু

১নং প্রশ্নের উত্তর 

প্রশ্ন গুলো মাযহাব ও হাদীস সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই সৃষ্ট।

প্রথমতো!

উক্ত ভাইটি না মাযহাব সম্পর্কে জানেন। না হাদীস সম্পর্কে জানেন। না মাযহাবের অর্থ ও হাকীকত বুঝেন। না হাদীস সম্পর্কে তার ন্যুনতম জ্ঞান আছে।

মাযহাব কি?

এখানে সহজে বুঝানোর জন্য বলছি- মাযহাব অর্থ পথ। কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত শরয়ী বিধানাবলী মানার পথের নাম হল মাযহাব। যেমন কুরআন ও হাদীসে অজুর কথা এসেছে। কিন্তু ওজুর ফরজ কয়টি? সুন্নত কয়টি? ওয়াজিব কয়টি? ইত্যাদি স্পষ্ট শব্দে আসেনি। তো মাযহাবের কিতাবে কুরআন ও হাদীসকে সামনে রেখে উক্ত বিষয়াবলীকে সাজিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।

মাযহাব কোন আলাদা বস্তুর নাম নয়। বরং কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিধানাবলীর সুবিন্যাস্ত রূপের নাম।

এখন যদি কেউ প্রশ্ন করে হাদীস থাকতে মাযহাব কেন? তাহলে প্রশ্ন করুন-ওজুর ফরজ কয়টা? নামাযের ফরজ কয়টা? ওজুর মুস্তাহাব কয়টা? গোসলের ফরজ কয়টা? নামাযের শর্ত কয়টা? ওজু ভঙ্গের কারণ কয়টা? নামায ভঙ্গের কারণ কয়টি?

এভাবে নামায, রোজা, হজ্ব, ওজু, যাকাত, ইত্যাদির, ফরজ, সুন্নাত, মুস্তাহাব, ভঙ্গের কারণ ইত্যাদি নির্দিষ্ট আকারে কেউ যদি হাদীস থেকে স্পষ্ট শব্দে দেখিয়ে দিতে পারে, তাহলে আসলে মাযহাবের কোন দরকারই নেই।

মাযহাবেরতো সৃষ্টিই হয়েছে কুরআন ও হাদীস বুঝার জন্য। এটির প্রয়োজনই হয়েছে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত বিষয়াবলী স্পষ্ট করার জন্য।

সুতরাং হাদীস থাকতে মাযহাব কেন এমন প্রশ্ন মুর্খ ব্যক্তি ছাড়া আর কে করতে পারে?

মাযহাব যদি আলাদা কিছু হতো, তাহলে এমন প্রশ্ন যৌক্তিক হতো। কিন্তু মাযহাবতো আলাদা কোন বিষয়ই নয়। বরং কুরআন ও হাদীসেরই বিন্যাস্ত রূপ।

দ্বিতীয় কথা হলো!

আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত (এখানে বলেছে আল্লাহর রজ্জু মানে কুরআন আর সহিহ হাদিস মানতে আর ৪ মাযহাব কুরআন ও সহিহ হাদীস সহ যেই হাদিস সহীহ না ওগুলো মানে কেন? যেটা এখানে মানতে বলেনি?) আয়াত থেকে যে আলোচনা করছেন তা কি কুরআনের কোন জায়গায় লেখা আছে? হান্ডেড পারছেন নেই! তো আপনিও ডাক্তার জাকির নায়েক স্যারের মত গ্রহণ করেছেন! যদিও স্যারের উক্ত ব্যখ্যা একটা প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে অথবা আংশিক ব্যখ্যা বলে ধড়া হয়।

শেষ কথা হলো!

মাযহাব কুরআন সুন্নাহর বাহিরের জিনিস নয়।বরং ভিতরের জিনিস তাই উক্ত আয়াত থেকে মাযহাবকে বের করে দেওয়া মুর্খ ব্যক্তি ছাড়া আর কে করতে পারে?

২, ৩, ৪ নং প্রশ্নের উত্তর 

আসলে এটি লা-মাযহাবীদের পক্ষ থেকে একটি ওয়াসওয়াসা। তারা এর মাধ্যমে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে থাকেন। অথচ এর কোন বাস্তবতা নেই।

চার মাযহাবের দ্বারা দ্বীনে শরীয়তের মাঝে কোন বিভক্তি আসেনি। বিভক্তি এসেছে মূলত লা-মাযহাবী ফিরক্বার কারণে।

এ সকল ফিতনাবাজ লা-মাযহাবীরা “বিভক্তি” এর মানেই জানে না। বিভক্তি মানে হল এক দল অন্য দলের সম্পূর্ণ বিপরীত হওয়া। অথচ চার মাযহাবের মাঝে মৌলিক কোন বৈপরীত্বই নেই। সকল মাযহাবের অনুসারীরাই বলে থাকেন, অপর মাযহাবও সঠিক। অপর মাযহাবও হকের উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি মাযহাবই সুন্নাতে রাসূলের উপর প্রতিষ্ঠিত।

যেখানে চার মাযহাবের অনুসারীরাই অপর মাযহাবকে সুন্নাহ সম্মত এবং সঠিক বলে স্বীকৃতি প্রদান করছে। কিন্তু এলাকায় যাদের মাধ্যমে দ্বীন পৌছেছে এবং যে পদ্ধতিতে ইসলাম আসার পর থেকে সুন্নাহ সম্মত আমল জারি আছে তারা সেটির উপর আমল করছে সেই সাথে অপর এলাকায় প্রচলিত সুন্নাহ সম্মত আমলকে সঠিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করছে, সেখানে বিভক্তি আসল কোত্থেকে?

বিভক্তি আসতো তখন, যখন এক মাযহাবের অনুসারীরা অপর মাযহাবের অনুসারীদের বাতিল বলতো। অপর মাযহাবের অনুসারীদের ভুল ভ্রান্ত বলে ঘোষণা দিত। তাহলে মাযহাবের দ্বারা দ্বীনের মাঝে বিভক্তি এসেছে বলে যেতো। কিন্তু কোন মাযহাবের অনুসারীগণতো একথা বলেন না। তাহলে এ কল্পিত বিভক্তি লা-মাযহাবী ভাইয়েরা কোত্থেকে আবিস্কার করলেন?

আবারো বলছি! চার মাযহাবের দ্বারা দ্বীনের মাঝে বিভক্তি এসেছে তখনি বলা যেতো, যদি এক মাযহাবের অনুসারীরা অপর মাযহাবকে বাতিল ও ভ্রান্ত বলে সাব্যস্ত করতো। কিন্তু এমনটি কেউ বলেন না। বরং প্রতিটি মাযহাবের অনুসারীরাই অপর মাযহাবের অনুসারীদের সঠিক ও হক বলে স্বীকার করছে। সেখানে বিভক্তি বলার প্রশ্নই আসে না। বিভক্তি এসেছে বলা মুর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।

হ্যাঁ। লা-মাযহাবী ফিরক্বার কারণে উম্মতের মাঝে প্রচন্ড বিবাদ ও বিভক্তি এসেছে। রানী ভিক্টোরিয়ার মাধ্যমে সৃজিত এ ফিরক্বার মাধ্যমে উম্মতের মাঝে বিবাদ বিভক্তি ছড়িয়ে পড়ছে। পুরো দ্বীনটাই সন্দিহান হয়ে পড়ছে তাদের অনভিজ্ঞ ও অর্বাচিন গবেষণার কারণে।

৫, ৬, ৭ নং প্রশ্নের উত্তর নং 

عن عبد الله بن عمرو قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ليأتين على أمتي ما أتى على بني إسرائيل حذو النعل بالنعل حتى إن كان منهم من أتى أمه علانية لكان في أمتي من يصنع ذلك وإن بني إسرائيل تفرقت على ثنتين وسبعين ملة وتفترق أمتي على ثلاث وسبعين ملة كلهم في النار إلا ملة واحدة قالوا ومن هي يا رسول الله قال ما أنا عليه وأصحابي (سنن الترمذى-كتاب الايمان، باب ما جاء في افتراق الأمة، رقم الحديث-2641

অর্থ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে। {সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০}

বনী ইসরাঈলের মাঝে ছিল ৭২ ফিরক্বা। এর মাঝে ১টি ফিরক্বা ছিল জান্নাতী। আর ৭১ টি ফিরক্বা ছিল জাহান্নামী।

আর এই উম্মতের মাঝে হবে ৭৩টি ফিরক্বা। এর মাঝে ১টি ফিরক্বা হবে জান্নাতী আর ৭২টি ফিরক্বা হল জাহান্নামী।

নবী কারীম সাঃ ইরশাদ করেছেন-পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে। তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত। তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।

আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা। সেটিও এই উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে। শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে। যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-

. وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن

المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)

যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। {তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীর সূরাতুল আনআম}

এই উম্মতের মাঝে বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি হল ফিক্বহ ও ফুক্বাহাদের দুশমন, তথা ইজতিহাদ ও মুজতাহিদদের দুশমন দল। কারণ পূর্ব উম্মতের মাঝে কেবল নবীর আনীত দ্বীনের উপর আমল করতে হত, নতুন করে নীতিমালার আলোকে কোন উদ্ভাবন করার কোন সুযোগ ছিল না। যেহেতু ইজতিহাদই ছিল না, তাই ইজতিহাদ ও মুজতাহিদ তথা ফিক্বহ ও ফক্বীহ অস্বিকারকারী কোন বাতিল ফিরক্বাও ছিল না। আর এই উম্মতে যেহেতু ফিক্বহ ও ফক্বীহ আছে, তথা ইজতিহাদ ও মুজতাহিদ আছে, তাই এর দুশমন ও আছে। এই উম্মতের বর্ধিত সেই বাতিল ফিরক্বাটি হল ফিক্বহ ও ফক্বীহদের সমালোচনাকারী, ইজতিহাদ ও মুজতাহিদীনদের দুশমন দল। ফিক্বহে হানাফী, ফিক্বহে শাফেয়ী, ফিক্বহে মালেকী, ফিক্বহে হাম্বলী অস্বিকারকারী দল হল এই উম্মতের বর্ধিত বাতিল ফিরক্বা।

মুরজিয়া, কাদরিয়া, জাবরিয়া, শিয়া, কাদিয়ানী, বেদআতি ইত্যাদী বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতের বর্ধিত বাতিল ফিরক্বা নয়। পূর্ব থেকেই এই সব দলের নজীর আছে। কিন্তু ফক্বীহদের দুশমন বাতিল ফিরক্বার নজীর পূর্ব থেকে নেই। যেহেতু পূর্বে ফিক্বহ ও ফক্বীহই ছিল না।

নাজাতপ্রাপ্ত দল কারা? হাদীসে রাসূল সাঃ স্পষ্টতই সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলের পরিচয় দিয়ে দিয়েছেন। নাজাতপ্রাপ্ত হল সেই দল-যারা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত ও সাহাবায়ে কিরামের জামাতের মত ও পথের অনুসারী। এক কথায় যারা সুন্নাতধারী, সেই সাথে সাহাবাদের মত ও পথের অনুসারী। যাকে আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলে থাকি।

নাজাতপ্রাপ্ত দল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত কোন রেজিষ্ট্রিকৃত দলের নাম নয়, এটি একটি আদর্শের নাম। যারা নবীজী সাঃ এর সু্ন্নাত আঁকড়ে থাকবে, সেই সাথে সাহাবাদের মত ও পথের অনুসারী হবে তারাই হবে জান্নাতী দল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।

৮, ৯ নং প্রশ্নের উত্তর 

মাযহাব অর্থ ও এর হাকীকত না জানার কারণে আপনার মনে উক্ত প্রশ্নটি উদয় হয়েছে। মাযহাব মানা ছাড়া ইসলামী শরীয়ত মানা বর্তমান সময়ে অসম্ভব।

মাযহাব মানে পথ। যে পথের গন্তব্য হল কুরআন ও সুন্নাহ।তাছাড়া কুরআন ও হাদীসের সবচে’ বিশুদ্ধ ব্যাখ্যার নাম হল মাযহাবের ইমামদের সংকলিত ফিক্বহে ইসলামী। তাই মাযহাব মানা মানেই কুরআন ও হাদীসেরই বিধান মানা।

যারা মুজতাহিদ নয়, তারা মাযহাব অনুসরণ ছাড়া কুরআন ও হাদীসের আলোকে পরিপূর্ণ শরীয়ত মানতেই পারে না। এটি তাদের জন্য অসম্ভব বিষয়।

যেমন অজুর ফরজ কতগুলো? অজু ভঙ্গের কারণ কতগুলো? অজু কতগুলো কারণে মাকরূহ হয়? মুস্তাহাব কতগুলো? অজুর সুন্নাত কতগুলো?

নামাযের শর্ত কতগুলো? নামাযের ফরজ কতগুলো? নামাযের ওয়াজিব কতটি? নামাযের মুস্তাহাব কতগুলো? নামাযের সুন্নত কতগুলো? কতগুলো কারণে নামায মাকরূহ হয়? কতগুলো কারণে নামাযে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়? কতগুলো কারণে নামায ভেঙ্গে যায়? ইত্যাদি বিষয় আলাদা শিরোনাম আকারে, সুনির্দিষ্ট নাম্বারসহ তথা অজু ফরজ চারটি, নামায ভঙ্গের কারণ ১৯টি ইত্যাদি শিরোনাম ও নাম্বারসহ কুরআন ও হাদীসে বিদ্যমান নেই।

তাই একজন সাধারণ মুসলিমের পক্ষে শুধু কুরআন ও হাদীসের অনুবাদ পড়েই এসব বিষয়গুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা বের করে সঠিক পদ্ধদিতে ইবাদত করা সম্ভব নয়।

তাই এমন সাধারণ মুসলিমের কিভাবে দ্বীন পালন করবে?

তাদের জন্য সহজ পথ হল, কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞ খাইরুল কুরুনের যেসব মুজতাহিদগণ কুরআন ও হাদীস ঘেটে এসব বিষয়গুলো বের করে দিয়েছেন, তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা অনুপাতে ইসলামী শরীয়ত অনুসরণ করা। এর নামই হল মাযহাব অনুসরণ।

আর এমন দ্বীন বিশেষজ্ঞকে অনুসরণের কথা কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য স্থানে নির্দেশ এসেছে। যেমন-

وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ [٣١:١٥]

যে আমার অভিমুখী হয়,তার পথ [মাযহাব] অনুসরণ করবে। [সূরা লুকমান-১৫]

মাযহাব মানে পথ। এ আয়াতে আল্লাহ অভিমুখী তথা কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের মাযহাব অনুসরণ করার পরিস্কার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

আরেক আয়াতে এসেছে-

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ [٢١:٧]

অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। [সুরা আম্বিয়া-৭]

এ আয়াতেও না জানলে, না বুঝলে, বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে জিজ্ঞাসা করে মানতে বলা হয়েছে। আর বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নির্দেশনা অনুপাতে ইসলামী শরীয়ত মানার নামইতো মাযহাব।

এরকম আরো অনেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা জ্ঞানীদের পথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অনুসরণ করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের। আর এভাবে কুরআন ও হাদীস বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের অনুসরণে ইসলামী শরীয়ত মান্য করার নামই হল মাযহাব অনুসরণ করা।

মাযহাব ছাড়া দুআ রাকাত নামায পড়াও অসম্ভব

মাযহাব ছাড়া পূর্ণ দ্বীন মানা সম্ভব নয়, তাই চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা আবশ্যক।

যেমন দুই রাকাত নামায মাযহাবের অনুসরণ ছাড়া আদায় করা অসম্ভব।

উদাহরণতঃ

১. রুকু করা ফরজ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।

২. রুকুর তাসবীহ পড়া সুন্নত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

৩. রুকুতে গমণের সময় ইমাম জোরে তাকবীর বলে আর মুসল্লি আস্তে তাকবীর বলে। এ মাসআলা কুরআন ও হাদীসের কোথাও নেই। অথচ তা নামাযের মাসআলা। ইমাম যে জোরে তাকবীর বলে, আর মুসল্লি সর্বদা আস্তে আস্তেই তাকবীর বলে এভাবে আমল করার দ্বারা নামায শুদ্ধ হচ্ছে কি না? তা কুরআন ও হাদীসের কোথাও নেই।

এর সমাধান মাযহাবের ইমামদের ইজমা তথা ঐক্যমত্ব এর দ্বারা প্রমানিত হয়েছে।

৪. রুকুতে গিয়ে যদি কেউ ভুল তাকবীর না বলে, রুকুর তাসবীহের বদলে কেউ সেজদার তাসবীহ বলে ফেলল, তাশাহুদের বদলে সূরা ফাতিহা পড়ে ফেললো, জোরে কিরাতের স্থলে আস্তে কিরাত পড়ল, আস্তের স্থলে জোরে পড়ল এসব মাসআলার সমাধান ছাড়াতো সহীহ পদ্ধতিতে নামায পড়া সম্ভব নয়।

আর এসব মাসআলাসহ নামাযের অসংখ্য মাসায়েলের সমাধান না কুরআন দ্বারা প্রমাণিত, না হাদীস দ্বারা প্রমানিত। বরং এসব সমাধান মাযহাবের ইমামগণ কুরআন ও হাদীসের গভীর থেকে মূলনীতি বের করে এর আলোকে উদ্ভাবন করেছেন। আর তাদের উদ্ভাবিত সেসব মাসআলার নামই হল মাযহাব।

এইতো গেল শুধু নামাযের একটি ছোট্ট অংশের উদাহরণ। এমনিভাবে মানুষের জীবনঘনিষ্ট এমন অসংখ্য মাসআলার উপমা পেশ করা যাবে, যার সরাসরি কোন সমাধান কুরআন ও হাদীসে নেই। কিংবা অনেক স্থানেই বাহ্যিক বিরোধপূর্ণ।

তাই মাযহাব মানা ছাড়া সাধারণ মুসলমানদের কোন গত্যান্তর নেই। অন্তত দুই রাকাত ও পূর্ণ করে পড়ার জন্য প্রতিটি মুসলমান মাযহাবের প্রতি মুখাপেক্ষী।

তাই যেহেতু মাযহাব ছাড়া দুই রাকাত নামাযও পড়া যায় না, পূর্ণ দ্বীন মানাতো বহু দূরের কথা, তাই গায়রে মুজতাহিদ ব্যক্তিদের জন্য মাযহাব মানা ওয়াজিব।

আপনার মনে উক্ত প্রশ্নটি আসার মূল কারণ হল, “মাযহাব” শব্দটি আপনি কুরআনে খুঁজে পাচ্ছেন না। তা’ই মনে হচ্ছে উক্ত বিষয়টি কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।

কোন শব্দটি কুরআনে না থাকা মানে উক্ত বিষয়টি কুরআন দ্বারা প্রমাণিত নয়, বলা বাচ্চাসূলভ কথা হবে। এমন যুক্তি কোন আকলমন্দ ব্যক্তি দিতেই পারে না। কারণ অনেক বিষয় আছে, আমাদের সমাজে প্রচলিত শব্দ। কিন্তু তার হুবহু শব্দটি কুরআন বা হাদীসে নেই। কিন্তু এর অর্থবোধক বিষয় কুরআন ও হাদীসে আছে।

তো যে বিষয়টির শব্দ না থাকলেও তার অর্থ কুরআন ও হাদীসে থাকার মানেই হল, উক্ত বিষয়টি কুরআন ও হাদীসে আছে। যদিও হুবহু শব্দ না থাকুক।

যেমন, মুসলমানদের কাছে একটি প্রচালিত ও স্বতসিদ্ধ একটি শব্দ হল “তাওহীদ”। যা না থাকলে কোন ব্যক্তি মুসলমানই হতে পারে না। কিন্তু কুরআনের কোথাও “তাওহীদ” শব্দটি নেই। এর মানে কি আপনি বলবেন কুরআন দ্বারা তাওহীদ প্রমাণিত নয়? [নাউজুবিল্লাহ]

হুবহু শব্দ না থাকা মানেই উক্ত বিষয়ের অস্তিত্ব অস্বিকার করা মুর্খতা বৈ কিছু নয়। কুরআনে কারীমে আল্লাহর একাত্ববাদ সম্পর্কিত সকল আয়াতই তাওহীদ বিষয়ক। হুবহু শব্দ না থাকুক।

এর উত্তরও আমরা পবিত্র কুরআনে পরিস্কার ভাষায় দেখতে পাই-

ইরশাদ হচ্ছেঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ [٤:٥٩]

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর,নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং “তোমাদের মধ্যে” যারা জ্ঞানী ও প্রাজ্ঞ তাদের। [সূরা নিসা-৫৯]

উক্ত আয়াতে খেয়াল করুন। আল্লাহ তাআলা ও রাসূল সাঃ এর অনুসরণের নির্দেশের পরেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে “উলিল আমর” তথা বিচারক বা জ্ঞানী প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের অনুসরণ করতে।

আল্লাহ ও নবীজী সাঃ এর বিধান বিশেষজ্ঞ জ্ঞানীদের বলা হয় মুজতাহিদ।

এখন প্রশ্ন হল, সারা বিশ্বে অসংখ্য মুজতাহিদ থাকতে পারে। ব্যক্তি কোন মুজতাহিদের অনুসরণ করবে?

আল্লাহ তাআলা এ প্রশ্নের সমাধান জানিয়ে দিয়েছেন আয়াতের “মিনকুম” শব্দ দ্বারা। এর অর্থ হল, তোমাদের মাঝের” তথা তোমাদের মাঝে, তোমাদের সমাজের, তোমাদের এলাকার যিনি মুজতাহিদ হবেন, তোমরা তার অনুসরণ করো। দূরের মুজতাহিদের অনুসরণের কথা বলেননি। অর্থাৎ যার থেকে ফায়দা হাসিল করা সম্ভব নয়, তাদের পিছনে ছুটতে বলা হয়নি। বরং যে মুজতাহিদের ইজতিহাদ পাওয়া যায়, সহজলভ্য, যে মুজতাহিদ নিজেদের এলাকায় থাকেন, সেই মুজতাহিদের অনুসরণ করার কথা পবিত্র কুরআনে পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়ে আমাদের জন্য বিষয়টি সহজ করে দিয়েছেন।

এবার আমরা দেখি এ উপমহাদেশে কোন মুজতাহিদের ইজতিহাদ অনুপাতে ইসলাম আসার পর থেকে ইসলামের যাবতীয় মাসায়েল এসেছে?

নিশ্চয় হানাফী মাযহাবের।

যেদিন থেকে এ উপমহাদেশে ইসলাম নামক জান্নাতী ধর্ম প্রবেশ করেছে, সেদিন ইসলামের সাথে সাথে ইসলামের যেসব বিধানাবলী প্রবেশ করেছে, তা সবই হানাফী মাযহাবের ইমামের ইজতিহাদ অনুপাতে সুবিন্যস্ত কুরআন ও হাদীসের বিধানাবলী।

এ কারণে এ উপমহাদেশের মানুষ মাসায়েল নামায, রোযা, অজু, গোসল ইত্যাদি যাবতীয় মাসায়েলের সুনির্দিষ্ট মাসায়েলগুলো, ওয়াজিব, সুন্নাত, ভঙ্গের কারণ, মাকরূহাত ইত্যাদি সবই হানাফী মাযহাব অনুপাতেই জেনে আমল করে আসছে। এ উপমহাদেশে এ বিষয়ক অসংখ্য গবেষণাগার মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কুরআন ও হাদীসের সহীহ ব্যাখ্যা নির্ভর এ মাযহাব অনুসারী অসংখ্য শাইখুল হাদীস, মুহাদ্দিস, মুফতী, মুফাককিরে ইসলাম জন্ম নিয়েছেন। তারা আরো সুবিন্যস্তভাবে এ মাসায়েলগুলোকে মানুষর সামনে তুলে ধরেছেন। এখন একজন মানুষ ইচ্ছে করলেই দ্বীনের যেকোন মাসআলা সুনির্দিষ্ট হুকুমসহকারে আলেম উলামাদের কাছ থেকে জেনে আমল করতে পারে।

কিন্তু এ উপমহাদেশের কোথাও শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী মাযহাবের মাদরাসা দেখা যায় না। দেখা যায় না, এসব মাযহাব বিশেষজ্ঞ শাইখুল হাদীস, মুফতীয়ানে কেরাম। দেখা যায় না ব্যাপক আকারে তাদের কোন কিতাব।

ফলে এ উপমহাদেশে কোন ব্যক্তি অন্য মাযহাব মানতে চাইলে, তার পক্ষে সেই মাযহাব অনুপাতে সকল মাসায়েল জানতে পারা সম্ভব নয়। কারণ না বিশেষজ্ঞ খুঁজে পাবে। না পর্যাপ্ত কিতাব।

এ কারণে সহজ সমাধান হল, যে এলাকায় যে মুজতাহিদের ইজতিহাদ অনুপাতে কুরআন ও হাদীসের মাসায়েল ইসলাম আসার পর থেকে আমলী সূত্রে এসেছে, উক্ত এলাকায় উক্ত মাযহাব অনুপাতেই ইসলামী শরীয়ত পালন করবে। তাহলে আর কোন ফিতনা ও বিভ্রান্তি থাকবে না।

এদিকেই আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়ে সুরা নিসার ৫৯ নাম্বার আয়াতে বলেছেন “মিনকুম” তথা তোমাদের মাঝের বিশেষজ্ঞকে অনুসরণ কর।

তাই উপমহাদেশে হানাফী মাযহাব, শ্রীলংকাতে শাফেয়ী মাযহাব, ও মক্কায় হাম্বলী ও মদীনার লোকেরা মালেকী মাযহাব অনুসরণ করে থাকে। এভাবে যে এলাকায় যে মাযহাবের অনুসারীরা দ্বীন এনেছে ও কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক মাযহাবের আমল জারী হয়েছে, উক্ত এলাকায় সেই মাযহাবই মানবে। তাহলে আর কোন বিভ্রান্তি থাকবে না।

আর প্রশ্নকারী যেহেতু বাংলাদেশের অধিবাসী। তাই তিনি হানাফী মাযহাবের অনুসরণ করবেন। এটাই পবিত্র কুরআনের আয়াতের দাবী।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন আমীন সুম্মা আমীন।

Loading

Arab Light Online Madrasa এটি প্রকাশ করেছে জানুয়ারি 21, 2025
একটা মন্তব্য যোগ করুন
You are viewing 1 out of 1 answers, click here to view all answers.
আপনার উত্তর লিখুন।

Categories

প্রশ্ন পরিসংখ্যান

  • Active
  • দৃশ্য46 times
  • উত্তর1 উত্তর